এক সিনেমায় অনন্তসহ ১০ নায়ক!

এক সিনেমায় অনন্তসহ ১০ নায়ক!

সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশনের নাম অপারেশন জ্যাকপট। গৌরবময় এই অপারেশন নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ শিরোনামে সিনেমা। এতে অভিনয় করবেন অনন্ত জলিল, রিয়াজসহ দেশের ১০ নায়ক। এটি পরিচালনা করবেন কলকাতার রাজীব কুমার বিশ্বাস। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ‘পাগলু’খ্যাত এই নির্মাতা।

এরই মধ্যে সিনেমাটির চিত্রনাট্যসহ অভিনয়শিল্পীও নির্বাচন চূড়ান্ত করেছেন পরিচালক। ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন অনন্ত জলিল। তা ছাড়াও রয়েছেন— রিয়াজ আহমেদ, বাপ্পী চৌধুরী, সাইমন সাদিক, নিরব হোসেন, মামনুন হাসান ইমন, আব্দুন নূর সজল, জিয়াউল রোশান ও জয় চৌধুরী প্রমুখ।

তবে রিয়াজ, রোশান ও নিরবের সঙ্গে এখনো চূড়ান্ত চুক্তি না হলেও অন্য সাত অভিনেতা এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। নারী শিল্পীদের প্রায় সবাই পশ্চিমবঙ্গের। এ তালিকায় স্বস্তিকা ব্যানার্জি, সায়ন্তিকা ব্যানার্জির মতো অভিনেত্রীরা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজীব।

জানা গেছে, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে এফডিসিতে সেট নির্মাণ করবেন কলকাতার সেট ডিজাইনার অতনু এবং বাংলাদেশের ফারুক। আগামী ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিনেমাটির মহরত। সেদিন উপস্থিত থাকবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই ১০ নায়ক।

রাজীব বলেন, ‘অনেক বড় সিনেমা এটি, চাপও খুব। তা ছাড়া এতজন নায়ক নিয়ে ইউনিট সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। তার ওপর শুটিং হবে ঢাকা, গাজীপুর, মোংলা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে। গত দুই মাস ঢাকা-কলকাতা আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলাম। লোকেশন রেডি থেকে শুরু করে সবকিছু নিজের হাতেই করেছি। আশা করছি, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের দারুণ একটি সিনেমা নির্মাণ করতে পারব।’

এ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সিনেমাটি করছি। এই মুহূর্তে আমি একটু ব্যাবসায়িক কাজে ব্যস্ত। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।’

জানা গেছে, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমাটির শুটিং হবে ৭০ দিন। ফেব্রুয়ারিতেই শুটিং শেষ করতে চান নির্মাতা। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান।

‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম চিত্রনাট্য তৈরি করেন। পুরো প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

গত বছর সিনেমাটির নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর। দরপত্র আহ্বান করে তারা। তখন সিনেমাটি নির্মাণের কাজ পায় কিবরিয়া ফিল্মস। তবে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘আশীর্বাদ চলচ্চিত্র’ দরপত্র থেকে ছিটকে পড়ায় তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।