নাটোরে যক্ষা নিরোধে মতবিনিময় সভা

নাটোরে যক্ষা নিরোধে মতবিনিময় সভা

সংগৃহীত

যক্ষা  নিরোধে সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা  নিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে।

সভায় জানানো হয়, হাঁচি, কাশি, থুথু ইত্যাদির মাধ্যমে জীবানু বাতাসে ছড়িয়ে যক্ষা  রোগের সংক্রমণ ঘটায়। অধিক সময় ধরে কাশি, বিকেলে বা রাতে জ্বর এবং ঘেমে জ্বর ছেড়ে যাওয়া, খাবারে অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, শরীর ক্রমশ দুর্বল হওয়া, বুকে অথবা পিঠের উপরের অংশে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি যক্ষার উপসর্গ। নিয়ম মেনে ছয় মাস ওষুধ খেলে যক্ষা  নিরাময়যোগ্য। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল এবং বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকে বিনামূল্যে যক্ষা  পরীক্ষা এবং ওষুধ দেওয়া হয়। তবে রোগী প্রতিদিন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবকের উপস্থিতি এবং সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ‘ডটস্’ পদ্ধতিতে যক্ষার ওষুধ সেবন করলে সুফল পাওয়া যায়। সচেতনতা সৃষ্টি এবং চিকিৎসার মাধ্যমে যক্ষা  থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে যক্ষা নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

চলতি বছরে নাটোর জেলায় ২৯ হাজার ৫১ ব্যক্তির পরীক্ষার মাধ্যমে দুই হাজার ৮৫৬ ব্যক্তির যক্ষা  সনাক্ত হয়। এরমধ্যে এক হাজার ১৮৬ ব্যক্তি চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছেন এবং বর্তমানে এক হাজার ৬৭০ ব্যক্তি চিকিৎসাধীন আছেন বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আজিজা সুলতানা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা  নিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনামুর রহমান চিনু।

সূত্র: বাসস