বিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ সিওপিডি, সচেতনতার তাগিদ

বিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ সিওপিডি, সচেতনতার তাগিদ

সংগৃহীত

অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) শীর্ষ পর্যায়ের রোগ। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয়। এতে আক্রান্ত প্রতিবছর অন্তত ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় ভয়ংকর এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ব সিওপিডি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে সিওপিডি অন্যতম শীর্ষ পর্যায়ের রোগ। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক উপাদান শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করার ফলে শ্বাসনালী ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আক্রান্ত স্থানে প্রদাহ তৈরি হয়। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর সকল কারণের মধ্যে এটি তৃতীয়। তাই এই ভয়ংকর রোগ সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে এবং প্রতিরোধে সচেষ্ট হতে হবে। 

সেমিনারে জানানো হয়, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই রোগে ভোগা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর এই রোগে বিশ্বে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ মারা যায় এবং কমপক্ষে ৩০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। তবে অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ হ্রাস করা, জৈব জ্বালানির ক্ষতিকর দিক থেকে মানুষকে রক্ষা করা এবং ধূমপানে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে এই রোগটি সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্বাসতন্ত্রের সুস্থতার জন্য মুখে মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে। ধূমপান পরিহার ও দুষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে সিওপিডি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, কলকারখানার ধোঁয়াসহ সকল ধরনের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা, তামাক চাষ বন্ধ করা এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে সিওপিডি রোগ অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব। ধূমপানই সিওপিডির প্রধান কারণ। তাই এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক করতে হবে।