রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে ভারত!

রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে ভারত!

সংগৃহীত

বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারী দেশ ভারত। আর তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। প্রায় দুই বছর হতে চলল ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতেও ‘বন্ধু’ দেশের অস্ত্রভাণ্ডার মজবুত করতে চায় তারা। ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে নয়াদিল্লির সঙ্গে চুক্তি করেছে মস্কো। এক প্রতিবেদনে এমন খবর দিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

ইগলা-এস হলো ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। দৈর্ঘ্য ৫ ফুট। পাল্লা ৬ কিলোমিটার। মুহূর্তে শত্রুপক্ষের হেলিপকপ্টার থেকে যুদ্ধবিমান মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি সেনা কাঁধে নিয়েই চালাতে পারবেন। অর্থাৎ কোনও স্থায়ী লঞ্চপ্যাড বা লঞ্চ ভেহিকেলের প্রয়োজন পড়বে না। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে নিমেষে হামলা চালিয়ে উধাও হতে পারে কমান্ডো বাহিনী।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। সেই থেকে লড়াই থামেনি। এমন পরিস্থিতিতেও কিন্তু মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক একই থেকেছে। পশ্চিমা বিশ্বের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই রাশিয়ার থেকে তেল কিংবা অস্ত্র সবই নিয়েছে ভারত। সেই তালিকাতেই এবার যোগ হল ইগলা।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনার জন্য সীমিত সংখ্যায় ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়েছিল।

আশির দশকে আফগানিস্তান যুদ্ধে সোভিয়েত যুদ্ধবিমানের ‘মৃত্যুবাণ’ হয়ে উঠেছিল আমেরিকার তৈরি স্ট্রিংগার ক্ষেপণাস্ত্র। তারই রুশ সংস্করণ ইগলা-এস বানাতে চলেছে ভারত। আমদানি নয়, নির্মাণকারী রুশ সংস্থার লাইসেন্স নিয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে ভারত ওই স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে বলেও জানানো হয়েছে ‘তাস’-এর প্রতিবেদনে।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, পাকিস্তান এবং চীন সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় প্রতিপক্ষের নজরদারি এবং ঘাতক ড্রোন নিশানা করতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রোন হানাদারি রুখতে ইতোমধ্যেই পাক সীমান্তে নতুন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জমানার বফর্স এল-৭০ বিমান বিধ্বংসী কামান মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। দেশটিতে উৎপাদন শুরু হলে তার জায়গা নিতে পারে ইগলা-এস।