ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চায় বাংলাদেশসহ ৫ দেশ

ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চায় বাংলাদেশসহ ৫ দেশ

ছবিঃ সংগৃহীত।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের এবং উপত্যকার সার্বিক পরিস্থিতির তদন্ত চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান। তিনি বলেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।

 

আবেদন জানানো পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশগুলো হল, দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আইসিসির প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কমোরোস ও জিবুতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওই আবেদন করেছে।

তিনি আরও জানান, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।

 

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর সদস্য নয়, এখন পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি দেশটি। এদিকে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।

 

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের প্রবেশ করে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কয়েক শ’ যোদ্ধা। সেখানে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক লোকজনদের হত্যার পাশপাশি ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যুক্ত হয় স্থল বাহিনীও।

 

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৬ সপ্তাহের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক।

 

গত মাসে গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করতে গিয়ে করিম আহমেদ খান জানিয়েছন, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা এবং ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযান দুটি ব্যাপারটি তদন্তের এক্তিয়ার রাখে আইসিসি।