জানুয়ারিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা
সংগৃহীত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামী বছর জানুয়ারি মাসে আয়োজন করা হতে পারে। প্রথম ধাপের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার পূর্বেই দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর। পরীক্ষা নেওয়ার পর দ্রুত এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর নেওয়া হবে মৌখিক পরীক্ষা। প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে জানুয়ারিতেই দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করা হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আর ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। তবে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের এ পরীক্ষা পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে শেষ করে চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় থাকা জরুরি বলে জানিয়েছেন সচিব।
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ২৪ মার্চ।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন চাকরিপ্রার্থী।
ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন।
এদিকে, নিয়োগের অনুমোদিত শূন্যপদের মধ্যে বেশি ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ টি। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৪১১টি। এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে।