চক্রান্ত করে দুর্বল করা যাবে না : রিজভী

চক্রান্ত করে দুর্বল করা যাবে না : রিজভী

চক্রান্ত করে দুর্বল করা যাবে না : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চক্রান্ত করে দুর্বল করা যাবে না।মঙ্গলবার সকালে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস এর শাহজাহানপুরস্থ বাসভবনে আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীদের ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে সাজা এবং পৃথক আরেকটি মিথ্যা মামলায় হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনামসহ ২৫ জনকে দুই বছর করে সাজা প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ২৮ অক্টোবরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের পর দেশে শুরু হয়েছে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ড। এরই ধারাবাহিকতায় জনাব মির্জা আব্বাস এর বাসভবনে আওয়ামী দুস্কৃতিকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সারাদেশে ভয়ের পরিবেশ গড়ে তোলা, যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রতিবাদী হতে সাহস না পায়। কিন্তু অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ভুলের স্বর্গে বাস করছে, এ ধরনের সন্ত্রাসের মাধ্যমে চলমান আন্দোলন দমণ করা যাবে না।

রিজভী বলেন, নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বিএনপিকে দুর্বল ও রাজনীতিবিমুখ করার যে চক্রান্ত করছে সেটিও সম্ভব নয়। কারণ বিএনপি নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে এতটাই বিশ্বাসী যে, তাদেরকে চক্রান্ত করে দুর্বল করা যাবে না। জনদাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিশিরাতের আওয়ামী সরকার বশংবদ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফলীল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করেছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক ভরাডুবি হবে ভেবেই তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গণহারে গ্রেফতার করে কারান্তরীণ রেখে এবং দণ্ডদেশ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তাদের গৃহপালিত কিছু রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে। আবারো যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এটি তাদের সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান। তবে এবার ২০১৪ এবং ২০১৮ এর মতো নির্বাচন করতে দিবে না দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।

তিনি বলেন, জনগণ সম্মিলিতভাবে সরকারের সকল দুরভিসন্ধি নস্যাৎ করতে বদ্ধপরিকর। নির্যাতন-নিপীড়ণের মাত্রা যত বাড়বে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মী ও জনগণ আরো বলীয়ান হয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিবৃতিতে মির্জা আব্বাসের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তি এবং নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দেয়া সাজা প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানান।