প্রবাসীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্ত্রী ও শাশুড়ি গ্রেফতার

প্রবাসীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্ত্রী ও শাশুড়ি গ্রেফতার

ছবিঃ সংগৃহীত।

নেত্রকোনার মদনে স্বামী এখলাছ মিয়াকে (৩৩) পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী মোছা. মুক্তা আক্তার (২৮) ও শাশুড়ি মোছা. লুৎফুন নেছাকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত ১টার র্যাবের একটি দল ময়মনসিংহ মহানগরীর সানকিপাড়া এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে।

 

ময়মনসিংহ সদর ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক ও অপারেশনস্ অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

র্যাব সূত্র জানায়, ছয় বছর আগে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার পাছার (মাইজপাড়া) গ্রামের মৃত আলী আমজাদ খাঁর ছেলে ভুক্তভোগী এখলাছ মিয়া পার্শ্ববর্তী একই জেলার মদন উপজেলার বাড়রী (সুতিয়ারপাড়) গ্রামের মো. খাইল ইসলামের মেয়ে মুক্তা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর জীবিকার সন্ধানে এখলাছ বিদেশে পাড়ি জমান। এ সময় মুক্তা আক্তার তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। স্বামী এখলাছ বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ তার স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন।

 

পাঁচ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর স্বামী এখলাছ দেশে ফেরেন। এরপর স্ত্রীর কাছে পাঠানো টাকার হিসাব চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। ছয় মাস আগে মুক্তা আক্তার ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম চলে যান। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। কিন্তু এখলাছের সন্দেহ ছিল, তার স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।

দাম্পত্য কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে পেট্রোল ঢেলে এখলাছের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে তার শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর তিনি পাঁচদিন রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিন গত ১৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাওহীদুর রহমান জানান, দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।