ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কিউবার হাজার হাজার মানুষ। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানী হাভানায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় গাজায় ‘গণহত্যা’ বন্ধের দাবি তোলেন হাজার হাজার কিউবান নাগরিক। ফিলিস্তিনের পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে এতে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দেন তারা। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানান হাজার হাজার মানুষ।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন শারীরিক সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ ইয়ানকুয়েল কার্ডোসো বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করছি, সেই সমস্ত লোকদের সমর্থন করছি যারা এই গণহত্যার কারণে পরিবারের সদস্য, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা অনুভব করছেন। আমরা যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার পক্ষে।

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন কিউবার প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ। মিছিলকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে দিয়ে ২ কিলোমিটার হেঁটেছিল। সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিউবায় থাকা ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীরা সমাবেশে যোগ দেয়।

দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের কট্টর সমর্থক কমিউনিস্টশাসিত দেশ কিউবা। ইসরায়েলের সাথে তাদের কূটনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। প্রয়াত কিউবান নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকেও এমন কাজের জন্য (বিক্ষোভ সমাবেশ) স্মরণ করা হয়।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবরের আকস্মিক হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। তবে সম্প্রতি সেই সংখ্যা কমিয়ে ১২০০ করা হয়েছে। এছাড়া হামাস ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।

এরপর থেকে গাজায় ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। গাজার আবাসিক এলাকা, স্কুল, হাসপাতাল, জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার গুদাম, খাবারের দোকানসহ কোনো কিছুই হামলা থেকে বাদ যায়নি। এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬০০টিরও বেশি শিশু। নিহত বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।