পিটার হাসকে নিয়ে মস্কোর অভিযোগ সম্পর্কে যা বলল ওয়াশিংটন

পিটার হাসকে নিয়ে মস্কোর অভিযোগ সম্পর্কে যা বলল ওয়াশিংটন

পিটার হাসকে নিয়ে মস্কোর অভিযোগ সম্পর্কে যা বলল ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার ‘ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যার’ বিষয়ে তারা অবগত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।শনিবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করে না যুক্তরাষ্ট্র।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর পুনর্ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক।পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিন্ন লক্ষ্যকে সমর্থন করতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার্থে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

২২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মারিয়া জাখারোভা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি’ নিশ্চিত করার বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রচেষ্টার বিষয়ে বারবার কথা বলেছে।রাশিয়ার পক্ষে জানানো হয়, অক্টোবরের শেষদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় বিরোধী দলের একজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠকের তথ্য উঠে এসেছে। বৈঠকে তারা দেশে সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।

বিশেষ করে ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে’ অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের হামলা করার কোনো পরিকল্পনা থাকলে সে বিষয়ে বিরোধী দলের ওই প্রতিনিধিকে তথ্য দিয়ে সহায়তার ‘প্রতিশ্রুতি’ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে এরকম আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

রুশ মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব কর্মকাণ্ডকে কিভাবে বিবেচনা করা যায়? এসব বিষয়কে ওয়াশিংটন ও তার পক্ষ থেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয়, যা কূটনৈতিক সম্পর্কের ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনে উল্লিখিত নিয়মের প্রতি প্রকাশ্যে অবজ্ঞা করে।’তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধান মেনে, স্বাধীনভাবে, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা ছাড়াই ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’

সূত্র : ইউএনবি