করোনা প্রতিরোধে পাবনায় ৩ টি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের চেষ্টা চলছে-- রেল সচিব সেলিম রেজা

করোনা প্রতিরোধে পাবনায় ৩ টি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের চেষ্টা চলছে-- রেল সচিব সেলিম রেজা

পাবনা প্রতিনিধি

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা শনিবার (৪ জুলাই ) ঈশ্বরদী জংশনের উন্নয়ণমূলক কর্মকান্ডের খোঁজখবর নিতে এসে বলেছেন, করোনা ভাইরাস সনাক্তে পাবনাতে ৩ টি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের চেষ্টা চলছে। জেলার পাকশীস্থ রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের অগ্রাধিকারভ‚ক্ত একটি প্রকল্প। সেটি মাথায় রেখেই বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় রেলপথ সচিব একথা বলেন। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে সামনে ঈদুল আযহা। কোরবানির হাটগুলোতে যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বেচা-কেনা হয় এজন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, চিকিৎসকসহ যারাই এই করোনা পরিস্থিতিতে লড়াই করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস, পাকশী রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান, পাবনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম এমদাদুল হক, পাকশী রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ মহল, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসীর উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু। 

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালু, ঈশ্বরদী ট্রেনের নিরাপত্তাসহ আসন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবীদাওয়া তুলে ধরেন।

এসময় পাবনা জেলার করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ  মেহেদী ইকবাল ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসমা খান।

উল্লেখ্য, ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই জংশনে নতুন রেললাইন নির্মাণসহ আধুনিকায়নে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। অথচ এই উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ উঠায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরই ভিত্তিতে ৩০ জুন এ সকল কর্মকান্ড পরিদর্শণে আসেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ।