রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, থাকবে ২ দিন

রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, থাকবে ২ দিন

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাইরে বের হওয়া মানুষরা। অনেকেই ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা না থাকলেও এর প্রভাবে আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় দেয়া এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ সন্ধ্যা ৬টায় পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশের দিকে হালকা কিছু মেঘ বেরিয়ে আসতে পারে। এতে দেশের উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর আরও বেশি পরিমাণ মেঘ আসতে পারে। ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা নেই। তবে এর প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।

এদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার মধ্যে (ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায়) ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এরই মধ্যে ভারতের চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চেন্নাইয়ের অনেক আবাসিক এলাকা। বৃষ্টিপাতের কারণে চেন্নাইয়ে সোমবার পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।