শীতে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা

শীতে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

কিশমিশ খালি মুখে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন। বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ যোগ করলে যেন খাবারের স্বাদও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

এছাড়াও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যতম উপকারী খাবার হচ্ছে ড্রাই ফ্রুটস। এসব ফ্রুটস এর মধ্যে কিশমিশ অন্যতম। চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো অন্য ড্রাই ফ্রুটসের স্বাদ ভালো না লাগলে সেগুলোর সঙ্গে কিশমিশ চিবিয়ে খেতে পারেন। তাতে মিলবে বাড়তি স্বাদ।

কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি, আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য, দুইয়ের খেয়াল রাখতে প্রতিদিন কয়েকটি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরাও। কিশমিশে যেসব উপকার-

ক্লান্তি কাটাতে

এতে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যা কাজের একঘেয়েমি বা ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। শরীরচর্চা করার আগে বা পরে, একমুঠো কিশমিশ খেলে ক্লান্তি কাটে। শরীর আবার চনমনে হয়ে ওঠে।

 

ফাইবারে ভরপুর কিশমিশে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজমশক্তি ভালো রাখতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা— সবকিছুতেই কিশমিশ উপকারী।

হাড়ের জোর বাড়ে ক্যালসিয়াম এবং বোরনের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান রয়েছে কিশমিশে। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যা বয়সকালে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ রুখে দিতে পারে।

হার্টের জন্য ভালো কিশমিশে যে পরিমাণ ফাইবার, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। হার্টের জন্য রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ফাইবার সেই কাজটি খুব ভালোভাবে করতে পারে। তাছাড়া কিশমিশে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পটাসিয়াম। কিশমিশের মধ্যে এই উপাদানটির মাত্রা অনেকটাই বেশি। শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার।