শীত-কুয়াশায় থমকে গেছে পঞ্চগড়ের জীবনযাত্রা

শীত-কুয়াশায় থমকে গেছে পঞ্চগড়ের জীবনযাত্রা

সংগৃহীত

দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। ঠাণ্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র শীতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের এই জেলায় দাপট দেখাচ্ছে শীত।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ সকাল ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলাজুড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমবাতাস। সন্ধ্যার পর থেকে চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো টপটপ করে ঝরে কুয়াশা। অতিপ্রয়োজনে বাইরে গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বেরোলেও কুয়াশায় ভিজে যাওয়ার উপক্রম হয়। দিনের মাঝামাঝি কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও নেই তেমন উত্তাপ। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

বিশেষ করে তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে সকালে কাজে যোগ দেওয়া কৃষি শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বেশি চরমে পৌঁছেছে।

শীতের কারণে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভ্যান ও রিকশা চালকরা।

তেঁতুলিয়া উপজেলার বাসিন্দা রিকশাচালক আব্দুল হক বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই ভয়াবহ শীত পড়েছে। তীব্র শীতে রিকশা-ভ্যান চালানো যাচ্ছে না, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রী পাচ্ছি না। এতে আমাদের আয় কমে গেছে।’

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলাজুড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে।