মুন্সীগঞ্জে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিন শ্রমিক আটক

মুন্সীগঞ্জে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিন শ্রমিক আটক

সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মার শাখানদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় বাল্কহেডের তিন শ্রমিককে আটক করেছে নৌ পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় বাল্কহেডের ভেতরে ইঞ্জিনের পাশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বাল্কহেডের ইঞ্জিন মিস্ত্রি হানিফ নিয়াজি (৫০), লস্কর মো. হানিফ (২০) ও পাচক মো. নাকিব হাসান (২০)। তাদের টঙ্গিবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা করেছে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সিরাজদিখান-টঙ্গিবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে রিফাত।

মুন্সীগঞ্জ সদরের চর আবদুল্লা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. হাসনাত জামান বলেন, জনরোষ থেকে বাঁচতে জব্দ বাল্কহেডের ইঞ্জিন কক্ষে তেল রাখার ড্রামে বিশেষ কায়দায় ওই তিন শ্রমিক লুকিয়ে ছিলেন। সন্ধ্যায় নৌ পুলিশ বাল্কহেডে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের আটক করে। তিনি বলেন, ঘটনার পর বাল্কহেডের চালক পালিয়ে যান। বাল্কহেডটি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার দশআনি এলাকার মো. নরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির।
শনিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের হাসাইলের চর থেকে ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাসাইল ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। তখন দক্ষিণ দশআনি নামের বাল্কহেডটি চাঁদপুর থেকে বালু আনতে পদ্মার শাখানদী দিয়ে মূল নদীর দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে অসাবধানতাবশত বাল্কহেডটি ট্রলারের ওপর উঠে যায়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশিপুর এলাকার মো. ফারুকের মেয়ে ফাইজা আক্তার ও মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মান্দ্রা এলাকার নজরুল ব্যাপারীর মেয়ে শিফার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রবিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী নৌযান দুর্ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি নদী থেকে টেনে তোলা হয়।