কুষ্টিয়া-৪ আসনে আবারও সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ১০

কুষ্টিয়া-৪ আসনে আবারও সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ১০

প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া-৪ আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মোহাম্মদ সানি, রাকিবুল ইসলাম, মো. শাজাহান বাবু, বিল্লাল হোসেন, বাপ্পী শেখ ও তুষার।  আহতদের কুমারখালী ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাত ১০টার দিকে কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে র‌্যাবের টহল।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমারখালী উপজেলার বহলবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার প্রার্থী সেলিম আলফাত জর্জের সমর্থকরা প্রথমে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় দুইজন আহত হয়।

আব্দুর রউফের রাজনৈতিক সচিব সালেহীন সেলিম বলেন, নৌকার সমর্থকেরা প্রথমে আমাদের বহলবাড়িয়া অফিস ভাঙচুর করে। পরে ছাতিয়ান অফিস ভাঙচুর করে। এরপর জয়বাংলা অফিস ভাঙতে এলে তারা প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

নৌকা প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনাকারীদের অন্যতম কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসের সামনে দিয়ে নৌকার মিছিল করতে করতে যাচ্ছিল। সেই সময় যদুবয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের লোকই বেশি আহত হয়েছে।

উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হক জানান, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই কুষ্টিয়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।