ক্রিমিয়ার বন্দরে ইউক্রেনের বিমান হামলা

ক্রিমিয়ার বন্দরে ইউক্রেনের বিমান হামলা

সংগৃহীত

ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়া বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির বিমান বাহিনীর কমান্ডার মঙ্গলবার বলেছেন, ক্রিমিয়া শহরের বন্দর এলাকায় হামলার ফলে আগুন ধরে যায়।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মাইকোলা ওলেশচুক প্রমাণ না দিয়েই টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, আক্রমণের ফলে রাশিয়ান নৌবাহিনীর একটি বড় জাহাজ ধ্বংস হয়েছে। খবর রয়টার্সের

তিনি বলেন, 'রাশিয়ার নৌবহর ছোট থেকে ছোট হয়ে আসছে! বিমান বাহিনীর পাইলট এবং ফিলিগ্রি কাজের জন্য জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ!'

প্রতিবেদনটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি এবং রাশিয়া থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই ২২ মাস ধরে যুদ্ধে জড়িত। এই সময়ে তারা একে অপরের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ক্ষতির দাবি করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার ক্রিমিয়ার রুশ-স্থাপিত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ বলেছিলেন যে, ইউক্রেনীয় হামলার ফলে শহরের বন্দর এলাকায় আগুন লেগেছিল যা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

তিনি জানান, সেখানে সব ধরনের জরুরি বাহিনী উপস্থিত হয় এবং বেশ কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দ্বীপকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে সংযুক্ত করে।

এদিকে রাশিয়া হামলা জোরদার করায় ও শীত শুরু হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুসতেম উমেরভ বলেন, বর্তমানে যারা সেনা বাহিনীতে কাজ করছেন, তারা ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যম প্রয়োজন।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি যে ইউক্রেনীয়রা বিদেশে বসবাস করছেন, তাদের দেশে ফেরার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

খবরে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের লড়াইয়ে পাঠানো হতে পারে। সব মিলিয়ে সেনা বাহিনীতে পাঁচ লাখ নতুন নিয়োগের কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।যারা বিদেশ থেকে আসবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

বছরের শেষের সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্তে হামলা করা রাশিয়ান বাহিনীকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টায় আর্থিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে না বলে বিশ্বাস প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।