কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে : খাদ্যসচিব

কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে : খাদ্যসচিব

কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে : খাদ্যসচিব

কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্রান্ডিং করবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি।তিনি বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্রান্ডিং করবে। এজন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে।’

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রেশনসের (গেইন) উদ্যোগে আয়োজিত ‘অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ অন কোঅর্ডিনেশন ইন এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অব দ্য মার্কেট অ্যঅন্ড ফুড এস্টাব্লিশমেন্ট’- শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।এসময় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের তুলনায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা ও জনবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’

সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীদিনের বাংলাদেশ হবে নিরাপদ খাদ্যের অন্যতম গন্তব্য।সকাল ১০টায় কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএ'র সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মো. ইফতেখার।

তিনি তার আলোচনায় অফিসিয়াল ফুড কন্ট্রোল প্ল্যান, খাদ্যনিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের মধ্যে সেবাদান চুক্তি, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ডাটাবেস নির্মাণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য সংরক্ষণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য জনাব মো. রেজাউল করিম।তিনি কলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

ঢাবির রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘পরিদর্শন কার্যক্রম রি-অ্যাকটিভ না হয়ে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।’তিনি ইউনিফর্ম কাঠামোর মাধ্যমে পরিদর্শন কাজ পরিচালনার কথা বলেন।বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. গোলজারুল আজিজ তার আলোচনায় সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে সরকার ও দাতা সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।বিএফএসএ'র সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি গেইন-এর কর্মকর্তাবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।কর্মশালায় বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা, গেইন ও বিএফএসএ'র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি