ব্লাড গ্রুপই বলে দেবে কোনো রোগের ঝুঁকি আছে কি না?

ব্লাড গ্রুপই বলে দেবে কোনো রোগের ঝুঁকি আছে কি না?

ছবিঃ সংগৃহীত।

মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান হলো রক্ত। প্রত্যেকের শরীরেই রক্ত থাকে, তবে রক্তের ধরন এক হয় না। কারও এ পজেটিভ, কারো আবার ও নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, বি নেগেটিভ ইত্যাদি। মোট ৮ ধরনের রক্তের গ্রুপ আছে।

 

সাধারণত রক্তের গ্রুপ হলো ৪টি-এ, বি, এবি এবং ও। অ্যান্টিজেন ও আন্টিবডির ওপর ভিত্তি করেই রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়। রক্তের গ্রুপের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রক্তের আরএইচ ফ্যাক্টর। এ কারণেই রক্তের গ্রুপের সঙ্গে নেগেটিভ বা পজেটিভ বলা হয়।

তবে জানেন কি, শরীরের সুস্থতা অনেকাংশেই নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের উপর। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, বেশ কিছু রোগ মানুষের রক্তের ধরনের উপরও নির্ভর করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন ব্লাড গ্রুপের কোন রোগের ঝুঁকি বেশি-

১. ও গ্রুপের রক্ত যাদের শরীরে আছে, তারা হৃদরোগে কম ভোগেন। গবেষণা দেখা গেছে, ও ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিদের করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। যদিও বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।

 

২. অন্যদিকে এ, এবি ও বি রক্তের গ্রুপগুলোর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে যাদের এ টাইপ ব্লাড গ্রুপ তাদের পাকস্থলীর ক্যানসারেরও ঝুঁকি বেশি। এছাড়া অগ্ন্যাশয় ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

গবেষকরা ধারণা করেন, এর কারণ হতে পারে এইচ পাইলোরি সংক্রমণ। যা এ গ্রুপের রক্তে বেশি দেখা যায়। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত পেটে পাওয়া যায়। এটি প্রদাহ ও আলসারেরও কারণ হতে পারে।

 

৩. একটি ছোট সমীক্ষায় দেখা গেছে, অন্যান্য ব্লাড গ্রুপের চেয়ে এবি গ্রুপের ব্যাক্তিরা স্মৃতিশক্তির সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।

 

৪. শরীরে করটিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রেস হরমোনও বেড়ে যায়। এ গ্রুপের রক্ত আছে যাদের, তাদের শরীরে বেশি করটিসল থাকে। তাই এমন ব্যক্তিরা বেশি মানসিক চাপে ভোগেন।

৫. কামড়ালে ওই জীবাণু রক্তের মাধ্যমে আপনার শরীরেও প্রবেশ করে। ও ব্লাড গ্রুপের রক্ত আছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া বেশি দেখা দেয়।

 

৬. পেপটিক আলসার খুবই যন্ত্রণাদায়ক। ও ব্লাড গ্রুপের রোগীরাও এ সমস্যাতে বেশি ভোগেন।

 

৭. জমাটগুলো কখনো কখনো আপনার ফুসফুসে চলে যায়। গবেষণায় দেখা যায় এ, বি বা এবি ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা ভিটিই’তে বেশি ভোগেন।

 

৮. এবি রক্তের গ্রুপ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা মনে করেন, অন্যান্য ব্লাড গ্রুপের তুলনায় এবি ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

৯. এ ও বি ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে বেশি ভোগেন। যদিও কেন এটি ঘটে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। এক্ষেত্রে আরও গবেষণা প্রয়োজন।