অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে

অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। গত ১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই বিষয়টিকে হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এই তিন মাস অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরেক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

গত ১১ নভেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়রের অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি উল্লেখ করে ২৮ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।

পরবর্তীতে গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।