পরিকল্পিতভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: ডিএমপি

পরিকল্পিতভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: ডিএমপি

সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, পরিকল্পিতভাবেই রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেয়া হয়েছে। এখনই বলা যাবে না কারা এ কাজটি করেছে। তবে এটি যে নাশকতা তা স্পষ্ট। বোঝাই যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে এই নাশকতা করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারণ মানুষ, যাত্রীদের প্রতি, শিশু, নারীদের প্রতি এ ধরনের অমানবিক ও সহিংসতা, মানুষ পুড়ে মারা এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো মানুষ এটা করতে পারে না। এই কাজ যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। চারটি বগি এখান থেকে আলাদা হয়ে স্টেশনে চলে গেছে। ছয়টি বগি এখানে থেকে যায়।’ ট্রেনের পাওয়ার জেনারেট করার জন্য পাওয়ার কার বগিসহ তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগুনের কোনো ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, এখন প্রথম কাজ হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। যেটা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা করেছে। জীবন বাঁচানো তাদের প্রথম কাজ। সেটা তারা করেছে। আমরা ডিএমপি, রেলওয়ে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব আনসারসহ সব বাহিনীর সদস্যরা এসেছেন। আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে এসেছেন। এখন ফায়ার সার্ভিসের বগিত ভেতরে সুইপ করছে। আমাদের যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আছেন তারা এখন থেকে যে আলামত সংগ্রহ করবেন। আমরা চেষ্টা করব কি কারণে আগুন লেগেছে সেটি জানার জন্য। তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এরমধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

এমন ঘটনার প্রিপ্রোটেকশন কি নেয়া হবে না? এর জবাবে তিনি বলেন, প্রস্তুতি নেয়া আছে বলেই কিন্তু নাশকতাকারী যত ঘটনা ঘটাতে চায়, ততটা হয় না। আপনি দেখবেন যে গত ১৫ দিনে কতগুলো ঘটনা আমরা ডিজমেন্টাল করেছি। নাশকতাকে নিরবে প্রতিহত করেছি তার কোনো হিসাব নেই। কিন্তু তারা যেটি ঘটাতে পেরেছে। নাশকতাকারীরা কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে৷ নাশকতাকারীরা কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে, চিহ্নিত হয়েছে। তাদের দশ বা ১০০ নাশকতার প্রচেষ্টার একটা সফল হয়।

হরতালের আগেই নাশকতার এমন চেষ্টার বিষয় তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় ছড়ানো। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত করতেই এই নাশকতা করে। একটি জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা পরিকল্পিত নাশকতা।

মহিদ বলেন, কোনো কোনো অপরাধ তাৎক্ষণিক ধরা পরে যার নজির আপনারা দেখেছেন। যার সংখ্যা ৪০ এর বেশি। গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ঘটনায় জড়িতদের বিষয় কাজ চলছে। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন দরকার। এটা কখন ১৫ ঘণ্টা বা ১৫ দিন কিংবা তার বেশি সময় লাগতে পারে।