ইসরায়েলিদের আস্থা সংকটে নেতানিয়াহু

ইসরায়েলিদের আস্থা সংকটে নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সংঘাতের মধ্যেই নিজ দেশে জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের এক জরিপে জানানো হয়েছে, ৬৪ শতাংশ ইসরায়েলি বিশ্বাস করেন যে, গাজার সংঘাতে নেতানিয়াহু তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারেননি।

তিন মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছে। অপর একটি জরিপে দেখা গেছে, ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করে যে, ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির নেতা এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তোজ সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর চেয়ে বেশি যোগ্য। তবে ২৫ শতাংশ মানুষ এখনও নেতানিয়াহুকেই এখনও যোগ্য নেতা হিসেবেই পছন্দ করেন।

ওই জরিপ বলছে, এখন যদি ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে গান্তোজের দল ৩৩ আসনে জয়ী হবে এবং নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি জয়ী হবে মাত্র ২০টি আসনে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়। এখনও শতাধিক জিম্মি হামাসের হাতে আটক রয়েছেন। তাদের মুক্তির বিষয়ে নেতানিয়াহু সরকার তেমন কিছুই করছে না। বরং গাজায় হামলা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জিম্মিদের মুক্ত করতে না পারার কারণে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেই নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে। এর ফলে নিজ দেশেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি কয়েক দফায় নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চেয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছে।

এদিকে চাপ দেওয়া উচিত নয় এবং শর্ত সাপেক্ষে তাদের নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে দিতে হবে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি মন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সফরের অংশ হিসেবে কাতারে অবস্থান করছেন ব্লিঙ্কেন। গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার পরেই গাজায় ফিলিস্তিনিদের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করলেন ব্লিঙ্কেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে ধসে পড়া একটি ভবনের সামনে বেশ কিছু মরদেহ পড়ে আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে গত কয়েকদিনে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।