৭ বছরের মধ্যে চীনের বার্ষিক রফতানি কমল

৭ বছরের মধ্যে চীনের বার্ষিক রফতানি কমল

৭ বছরের মধ্যে চীনের বার্ষিক রফতানি কমল

সাত বছরের মতো প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে চীনের বার্ষিক রফতানি কমেছে। এমনকি ডিসেম্বরে শিপমেন্ট প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেলেও সার্বিকভাবে রফতানি হ্রাস পেয়েছে।উইন্ড ইনফরমেশনের মতে, ২০২৩ সালে রফতানি কমেছে ৪.৬ ভাগ। ২০১৬ সালে ৭.৭ ভাগ কমার পর এই প্রথম এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ল চীন।

গত বছর চীনের আমদানিও কমেছে। ২০২০ সালের পর এমনটি হয়েছে। সেবার কোভিড-১৯-এর কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার ফলে চীনা পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় প্রধান প্রধান অংশীদারের সাথে চীনা বাণিজ্য কমেছে।

তবে গত মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেড়েছে ২.৩ ভাগ। রয়টার্সের পূর্বাভাসে তা ১.৭ ভাগ বাড়বে বলে বলা হয়েছিল।আগের বছরের তুলনায় ডলারের হিসাবে ডিসেম্বরে আমদানি বেড়েছে ০.২ ভাগ। রয়টার্স তা ০.৩ ভাগ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হলো চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। এরপর রয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান। আর দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র হলো চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।

তবে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ওই দেশে ২০২৩ সালে চীনের রফতানি বেড়েছে প্রায় ৪৭ ভাগ। আর আমদানি বেড়েছে প্রায় ১৩ ভাগ।মহামারী অবসানের প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ ভাগ হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। তবে তা হয়নি।

এদিকে চাহিদা কমায় বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক চীনে ২০২৩ সালে তেলের চাহিদা ৭.৭ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। তবে নভেম্বরে তা কমেছিল ৮.১ ভাগ।চীনের প্রধান রফতানি পণ্য ছিল গাড়ি। আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে তাদের এই খাতে রফতানি বেড়েছে ৬৯ ভাগ।

চীনের গাড়ি রফতানি বাড়ার অন্যতম কারণ হলো বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার সম্প্রসারিত হওয়া এবং রাশিয়ায় এই গাড়ির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া। এমনটাই জানিয়েছেন মুডি অ্যানালাটিক্সের অর্থনীতিবিদ সারাহ টান।তিনি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পর অনেক গাড়ি নির্মাতা দেশটি ত্যাগ করে। এই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসে চীন।

সূত্র : সিএনবিসি