কুয়েটের ২১ শিক্ষার্থী হল থেকে বহিষ্কার

কুয়েটের ২১ শিক্ষার্থী হল থেকে বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় লালন শাহ হলের ২১ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ১২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) লালন শাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত আদেশে ২১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরা হলেন- সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইযাসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।

এরপর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মো. তাহমিদুল হক ইশরাক নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১২ শিক্ষার্থীসহ ৪০-৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ করা শিক্ষার্থীরা হলেন- কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, শুভানুদেব অংকন বড়াল, দীপ্রদাস কুন্ডু, এন নাজমুস সাকিব, তানবীন হাসান, অভিজিত ভট্টাচার্য, ফুয়াদ, জয়বোস, সিমান্ত অদিত্য, এহসান মল্লিক আকাশ, রাকিব বিন মাহাবুব তালুকদার ও সুমিত দাস।

সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন বিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. নূরুন্নবী মোল্লা, আইইএম বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রফিকুজ্জামান, এমই বিভাগের প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম, বিইসিএম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকরামুল হক, এলই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রঞ্জন কুমার রাহা। কমিটিকে যথাসময়ের মধ্যে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হন। লালন শাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রোববার রাতে হলে উঠতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

খুলনার খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি মারপিট ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন।