জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন জাপার

জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন জাপার

জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন জাপার

জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদীয় দলের সভায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়া দলের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। সভার আরো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জাপা সূত্রে জানা যায়। সিদ্ধান্তগুলো লিখিতভাবে স্পিকারকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করে। আর ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। যাদের ৫৯ জনই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাই নতুন সংসদে বিরোধী দলের আসনে কে বসবে তা নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশার মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ নেতা, উপনেতা ও চীফ হুইপ নির্বাচন করা হয়েছে। যদিও স্বীকৃতির বিষয়টি স্পিকারের ওপর নির্ভর করছে। কারণ জাপা সংসদ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিলেও স্পিকার সম্মতি দিলেই কেবল তারা প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারবে।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসছে, এটা নিশ্চিত। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী অন্য কারো সংসদে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই। তাই জাপার সংসদীয় দলের সভায় বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা ও চিফ হুইপ নির্বাচিত করা হয়েছে। আগামীতে তাদের নেতৃত্বে জাপা কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।

জাপা সূত্র জানায়, বৈঠকে সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় নির্বাচন চলাকালে সরকার ও প্রশাসনের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করা হয়। বিশেষ আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া আসনও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্ররা দখল করায় কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সভায় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সংসদ অধিবেশনের আগে তার কবর জিয়ারতের জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি রংপুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া জাপা সংসদ সদস্যদের অন্তত পাঁচটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সভাপতি করার দাবি জানানো হয়।