নেত্রকোনায় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নেত্রকোনায় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি: প্রতিনিধি

নেত্রকোনা সদর ও পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ জনি বিড়ি, কাজল বিড়ি ও মিলন বি‌ড়ি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নেত্রকোনায় জেলার ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাজার সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র ও কিছু ডিলার দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন বাজারে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিভিন্ন ব্যান্ডের বিড়ি বিক্রি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলার ভ্রাম্যমান আদালতের এক সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে একটি টিম দাপুনিয়া বাজার এবং ভবের বাজারে অভিযান ও তল্লাশি চালায়।

উক্ত অভিযানে দাপুনিয়া বাজারের ৬টি দোকান এবং ভবের বাজারের ৪ টি দোকানসহ মোট ১০ টি দোকানে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় উক্ত বাজার থেকে সাত হাজার (৭,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত জনি বি‌ড়ি, আট হাজার (৮,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত কাজল বি‌ড়ি, পাঁচ হাজার (৫,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত মিলন বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযান থেকে সর্বমোট বিশ হাজার (২০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি জব্দ করা হয়েছে।

অভিযান থেকে নকল বিড়ি বিক্রিকারী এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পাঁচ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

অভিযান চলাকালে উক্ত বাজার এবং প্বার্শবর্তী কয়েকটি বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে আর নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বিক্রি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত অবৈধ বিড়ি বাজার কমিটির সভাপতি ও বাজারে উপস্থিত জনতার সম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের সহকারী কমিশনার জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। এসব নকল বিড়ি কোম্পানিগুলো দৈনিক বিপুল টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তাদের ব্যাবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে নকল বিড়ির মালিক, ডিলার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করছে। এছাড়া তিনি সকলকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া কমদামী নকল বিড়ি ক্রয় ও বিক্রয় না করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।