ন্যায় বিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের অধিকার : প্রধান বিচারপতি

ন্যায় বিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের অধিকার : প্রধান বিচারপতি

ছবিঃ সংগৃহিত।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘ন্যায় বিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। তিনি বলেন, বিচারালয়ে এসে বিচার প্রার্থীরা যেন কোনোভাবে কষ্ট না পায় এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য বিচারক এবং আইন ও বিচার কার্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্ধোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ‘দেশের কোনো মানুষ যেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় এবং বিচার প্রার্থীরা যেন বিচারালয়ে এসে সাময়িক বিশ্রাম, টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট না পায়।  বিশেষ করে নারী, বয়োবৃদ্ধরা যেন বিশ্রামসহ বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারে সে বিষয়ে বিবেচনা নিয়ে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে। এ বিশ্রামাগার শুধু বান্দরবানে নয় এটি সারাদেশে প্রতিটি জেলায় স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া বিচারকেরা দ্রুত বিচার কাজ যেন সম্পন্ন করে নাগরিকদের যথাযথভাবে সেবা দিতে পারেন সে ব্যাপারেও কঠোরভাবে কাজ করছে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় বর্তমানে দেশের বিচারকের সংখ্যা অনেক কম। সে কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিচারালয়ে বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ আছে। সে বিবেচনায় দেশের সাধারণ জনগণ তথা সাধারণ বিচার প্রার্থীদের অধিকার থেকে যেন কেউ বঞ্চিত হতে না হয় সে জন্য বিচারক বৃদ্ধির ব্যাপারেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি।’

ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মুশিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে এম তোফায়েল হাসান, বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহি ভুঁইয়া, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুলানের বিচারক জেবুন নেছা আয়েশা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহাবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুন পাল, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন প্রমুখ।