মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরান দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরান দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পরপরই কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ হামলার পেছনে সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো রয়েছে। আমরা এ হামলার জবাব দেব।

বাইডেন বলেন, গত রাতে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের একটি কঠিন দিন ছিল। আমরা তিনজন সাহসী যোদ্ধাকে হারিয়েছি।

এ হামলার ঘটনায় নিহত সেনা ও তাদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে জো বাইডেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পছন্দমতো সময়ে এই হামলার জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনবে।

তবে জর্ডানের দাবি, তাদের ভূখণ্ডে হামলা হয়নি। হামলা হয়েছে সিরিয়ার ভেতর।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এরপর শুরু হয় ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ। এরপর ইরাক এবং সিরিয়াতে থাকা মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলোতে প্রায় ১৫০টি হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে এ ধরনের হামলায় সেনা সদস্য নিহতের ঘটনা এটাই প্রথম। ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধের প্রভাবে এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও তাদের মিত্ররা ইয়েমনে হুতি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলির ঘটনা হচ্ছে।

জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ মউবাইদান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সিরিয়ার আল তানফ ঘাঁটি। ২০১৬ সালে স্থাপন করা এই ঘাঁটিটি জর্ডান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।

মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আহত মার্কিন সেনাদের জর্ডান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এদিকে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জর্ডানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে এমন যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে মিসর। একইসঙ্গে এই নাজুক পরিস্থিতিতে জর্ডানের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে তারা... মিসর সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছে।