টাইফয়েড সারবে টমেটোর রসে

টাইফয়েড সারবে টমেটোর রসে

ছবিঃ সংগৃহীত।

টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগকেও নাকি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে টমেটো, এমনটিই দাবি বিজ্ঞানীদের। পেট খারাপ করে এমন ব্যাকটেরিয়া মাঝে মধ্যেই শরীরে প্রবেশ করে, আর সেই ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও ধ্বংস করে দেয় টমেটোতে থাকা পুষ্টিগুণ।

সম্প্রতি মাইক্রোবায়োলজি স্পেকট্রাম ম্যাগাজিনে এই নিয়ে বিস্তারিত এক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির ওই ম্যাগাজিনে টমেটোর বেশ কয়েকটি গুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে।টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া সালমোনেল্লা টাইফি। এটি টাইফয়েডের মতো কঠিন জ্বরের জন্য দায়ী। তাকেই কাবু করে টমেটো জুস বা নির্যাস।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মুখ্য গবেষক জিয়ংমিন সং সংবাদমাধ্যম এএনআই’কে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। তার মতে, এই গবেষণার লক্ষ্য টমেটো পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করতে পারে কি না তা দেখা।প্রাথমিকভাবে গবেষণায় দেখা যায়, টোমেটোর রস পেটে গিয়ে সালমোনেল্লা টাইফিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এই সাফল্যের পর টমেটোর পুষ্টিগুণের বিশ্লেষণ করা হয়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল পেপটাইডের খোঁজ শুরু হয়।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড কী?

এর মধ্যে দুটি পেপটাইডের বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। দেখা যায়, সেই দুটিই সালমোনেল্লা টাইফির মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে দিচ্ছে। ফলে টাইফয়েড সেরে যাচ্ছে।সালমোনেল্লা টাইফি শুধু একরকম নয়। করোনাভাইরাসের মতোই এর বেশ কিছু রূপ বা ভ্যারিয়েন্ট আছে। সেই ভ্যারিয়েন্টগুলো নিয়েই পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা।টমেটো জুস নিয়ে এই বিশদ গবেষণা করতে গিয়েই দেখা যায়, আরও বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেই এটি কাজ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো আমাদের কোলনে থাকে।কখনো কখনো এগুলো পেট খারাপসহ আরও কিছু রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদেরকেই নষ্ট করে পেট ভাল রাখে টমেটো জুসের গুণ।

সালমোনেল্লা টাইফি কেন বিপজ্জনক?

এটি শুধু টাইফয়েড রোগ ঘটায় তা নয়। এটি পেটের গুরুতর সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এর পাশাপাশি মূত্রনালির গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।সালমোনেল্লার অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলো এদিক থেকে আরও মারাত্মক। টমেটোর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল পেপটাইড সেগুলোকেই বিনষ্ট করে দেয়।