আদালতের নির্দেশেপাবনায় চার বছর পর কবর থেকে এক নারীর লাশ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশেপাবনায় চার বছর পর কবর থেকে এক নারীর লাশ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশেপাবনায় চার বছর পর কবর থেকে এক নারীর লাশ উত্তোলন

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় দাফনের চার বছর পর আদালতের নির্দেশে এক নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালত তার স্বামীর দায়ের করা হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয় যে মহিলাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।পাবনা বিচারিক আদালতের বিচারক হাসান আল আজাদ লাশ উত্তোলনের জন্য এই আদেশ দেন।

নিহত ময়না খাতুন (৪৫) উপজেলার খানমারিচ ইউনিয়নের ঘোষবালাই গ্রামের আয়নাল হকের স্ত্রী। শনিবার লাশের হাড়গুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাবনা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবনার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবুল হাসনাতের উপস্থিতিতে উপজেলার সুলতানপুর কবরস্থান থেকে নিহতে হাড়গোড় উত্তোলন করা হয়।ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির পাশের মাঠে গৃহবধূ ময়না খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে পরিবারের লোকজন তাকে দাফন করে।

ঘটনার আট মাস পর ময়না খাতুনের স্বামী আয়নাল হক পাবনা আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ওই গ্রামের হাঁস চাষি বেলাল হোসেন ও আবদুল জলিলসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ভাঙ্গুড়া থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা হাঁসের খামারের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে পরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ময়না খাতুনকে হত্যা করে। পরে তার লাশ বাড়ির পাশের মাঠে ফেলে রাখা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গুড়া থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার তদন্তে আদালতের নির্দেশে চার বছর পর কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশের হাড়গুলো কবর থেকে উত্তোলন করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শনিবার পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।