পাঁচ বছরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৩৫ কোটি টাকা

পাঁচ বছরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৩৫ কোটি টাকা

পাঁচ বছরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৩৫ কোটি টাকা

গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্থলবন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি। এছাড়া, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। অন্যদিকে ২০১৯-২০২০ ও ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে যথাক্রমে ২১ কোটি ৬৪ লাখ ও ২৫ কোটি ৭৩ হাজার টাকা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিপুল সম্ভাবনা জাগিয়েছে এই বন্দর। গত কয়েক বছরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় পাথর। পাথর ছাড়াও মেশিনারিজ, ডাল, চাল, ভুট্টা, প্লাস্টিক দানা, আদাসহ বিভিন্ন পণ্য এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। এই স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে আলু, ব্যাটারি, কোমল পানীয়, গার্মেন্টস সামগ্রী, ক্যাপ, সাবান, বিস্কুট, চানাচুর, জুস, কাচ, পাট ও পাটজাত পণ্য প্রভৃতি।  

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে প্রথম ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালে এ বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে শুরু হয় ব্যবসা-বাণিজ্য। ২০১৬ সালে এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হয়। ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি ভুটান থেকে পাথর আমদানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ স্থলবন্দরের চতুর্দেশীয় ব্যবসা কার্যক্রম।