নফসিয়্যত থেকে বাঁচার দোয়া

নফসিয়্যত থেকে বাঁচার দোয়া

ছবি: সংগৃহীত

দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।

নফসিয়্যাত মানে মনচাহী জীবন। মন যা চায় তাই করা। আল্লাহ পৃথিবীতে মন যা চায় তাই করতে পাঠাননি। তিনি দেখতে চান কে ভালো কাজ করে আর কে খরাপ কাজ করে। তাই নবীজি মনের চাহিদা মতো চলা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।

يَاحَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثْ أَصْلِحْ لِىْ شَأْنِىْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنِ উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বি রহমাতিকা আস্তাগিস, আসলিহলি শা’নি- কুল্লাহু ওলা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বর ফাতা ঈ-ন

অর্থ: হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলুকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করিতেছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করিয়া দিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের সোপর্দ করিবেন না।
 
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)

হাদিসে এসেছে-হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
 
রসুল সা. বলেছেন,
যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)

হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)