বিএসএমএমইউতে ‘ফাইব্রোস্ক্র্যান’ মেশিন উদ্বোধন

বিএসএমএমইউতে ‘ফাইব্রোস্ক্র্যান’ মেশিন উদ্বোধন

ছবি : সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো লিভারের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘ফাইব্রোস্ক্র্যান’ মেশিন উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেশিনের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্য বলেন, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা সেবায় প্রয়োগ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ফাইব্রোস্ক্যান মেশিনের উদ্বোধনের মাধ্যমে লিভার সিরোসিস, ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহজ লভ্য হলো। ফ্যাটি লিভার আগে এ মেশিন দিয়ে নির্ণয় করা হলে লিভার সিরোসিস রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যাবে।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটিই কথা-একজন রোগীও যেনো চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে না যান। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে এন্ডোস্কপি, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টসহ যাবতীয় চিকিৎসা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. দেওয়ান সাইফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির মহাসচিব ও গ্যান্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ, অধ্যাপক ডা. রাজীবুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শোয়েব চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, ডা. এবিএম সফিউল্লাহ, ডা. ফজলুল করিম চৌধুরী, ডা. নুরুজ্জামান, ডা. সুস্মিতা ইসলাম, ডা. শাহনেওয়াজ ও বিভাগের অন্যান্য চিকিৎসক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ফাইব্রোস্ক্যান একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র। এর সাহায্যে পুরোপুরি ব্যথামুক্ত পদ্ধতিতে লিভার স্টিফনেস বা লিভার কতখানি শক্ত হয়ে আছে, তা পরীক্ষা করা যায়। লিভার স্টিফেনস এর কয়েকটি ধরণ রয়েছে। ফরাসি প্রতিষ্ঠান ইকোসেন নির্মিত ফাইব্রোস্ক্যানের মাধ্যমে সিরোসিসসহ সবগুলো ধাপ নির্ণয় করা যায়। লিভারের নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ ক্রনিক ভাইরাল হেপাটাইসিস, অ্যালকোহলিক, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও লিভার সিরোসিস শনাক্তকরণে এ মেশিন ব্যবহার করা হয়। এর ফলে রোগীরা খুব সহজেই রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে।