পাকিস্তানে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

সংগৃহীত

কয়েকদিনের নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানে জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দল। আর নতুন এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতেই ইসলামাবাদে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এই দলগুলোই দুই বছর আগে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেছিল।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। যদিও এতদিন পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের কথা বলা হচ্ছিল। এদিন পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীরও নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন নওয়াজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে পিএমএল-এনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ বলেন, শাহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ তাকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছেন।

মরিয়মের বক্তব্য অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ মনে করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফকে এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মরিয়ম নওয়াজকে নেপথ্যে থেকে সহায়তা করার পাশাপাশি দলীয় বিষয়গুলো সবচেয়ে ভালো দেখভাল করতে পারবেন।

এর আগে নির্বাচনের পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাসায় দুই দলের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই দলই জানায়, পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছেছে তারা। তবে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চলছিল আলোচনা। প্রথমদিকে পিপিপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বিলাওয়ালকে চাওয়া হচ্ছিল।

এসব বিষয় নিয়ে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ও গতকাল পিপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। পরে গতকাল বিলাওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি নিজেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রে পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন তারা। তবে সরকারে থাকবেন না। কেন্দ্রে মন্ত্রিসভায় থাকার ইচ্ছাও নেই তাদের। তার ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই রাতে বৈঠকে বসেন পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) নেতারা। ওই বৈঠক শেষে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।