রাতেও সংঘর্ষে জড়াল চবি ছাত্রলীগ, আহত ৬

রাতেও সংঘর্ষে জড়াল চবি ছাত্রলীগ, আহত ৬

সংগৃহীত ছবি

দুপুরে একদফা সংঘর্ষের পর রাতে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে থেমে থেমে চলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সংঘর্ষে সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারীরা শাহজালাল হলের সামনে ও সিএফসি গ্রুপ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।  

এর আগে দুপুর ১টায়  পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সামনেই দেড় ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এতে আহত হয়েছেন ১৫ জন নেতাকর্মী। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্বের ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের মধ্যে চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এবং সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারেন।

বিবদমান উপগ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও অপরপক্ষ সিক্সটি নাইন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, বিভাগের অভ্যন্তরীণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বেধেছে। সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী আছে, তারাই মূলত উস্কানি দিয়ে সংঘর্ষ বাধায়। এছাড়া দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুই শিক্ষার্থী বিভাগের সমস্যা নিয়ে এ সংঘর্ষ বেধেছে। গতকাল এ বিষয়ে সমাধান করার জন্য তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু তারা আজ আমাদের কয়েকজন ছোট ভায়ের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

চবির প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখানে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছে। এরমধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাদের চমেকে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পরে আমানত হলের এক ছাত্র মারধর করে শাহজালাল হলের কিছু ছাত্র। এরপর থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা পরস্থিতি সামাল দিতে হলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছি। কিন্তু ইটপাটকেলের নিক্ষেপের কারণে ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি এখনো। পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।