বাংলাদেশের তৈরি জার্সি পরে খেলবে বার্সেলোনা

সহজলভ্য শ্রমশক্তি ও দক্ষ কর্মীর কারণে বাংলাদেশি পণ্যের বিশ্ববাজারে আলাদা কদর রয়েছে। এজন্য বিশ্বের অনেক নামীদামি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে সেবা নিয়ে থাকে। এবার দেশের সেই তৈরি পোশাক খাতের সেবা নিতে আসছে বিশ্ববিখ্যাত ক্লাব ও স্প্যানিশ জায়ান্ট এফসি বার্সেলোনা। 

স্প্যানিশ ক্লাবটির আগামী মৌসুমের জার্সি তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের বুকে। আর সেজন্য এরই মাঝে দেশের পোশাক কারখানা ঘুরে গিয়েছে প্রতিনিধিরা। খবর স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্ডো দেপোর্তিভোর।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের অনেকটা সময় বাকি থাকতেই পরের মৌসুমে জার্সি তৈরি এবং বিপণনের দিকে নজর দিতে আগ্রহী বার্সা। যার সম্ভাব্য এক বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশে নজর রাখছে কাতালান ক্লাবটি। সেইসঙ্গে নজরে আছে চীনও। দুই দেশেই এরই মধ্যে পা রেখেছেন বার্সার প্রতিনিধিরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে বার্সার সঙ্গে তাদের জার্সির স্পন্সর প্রতিষ্ঠান নাইকির সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তাদের সঙ্গে ২৬ বছরের পুরাতন সম্পর্ক ছেড়ে আসতে চাইছে ক্লাবটি। 

বিষয়টি নিয়ে এএস স্পোর্টস জানিয়েছে, জার্মান ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পুমার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যাচ্ছে ক্লাবটি।

বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বেশ কড়া ভাষাতেই নাইকি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে, বার্সেলোনা তাদের নতুন জার্সির জন্য যেতে পারে পুমার কাছে। সেখানে প্রতি বছর ২১৬ মিলিয়ন ডলার বা ২০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করবে বার্সেলোনা। তবে ঠিক কত বছরের জন্য দুপক্ষ চুক্তিতে সম্মত হচ্ছে, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।

এদিকে নাইকির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও আরেক বিকল্প হিসেবে নিজস্ব পদ্ধতিতেও জার্সি তৈরির কথা ভাবছেন লাপোর্তা। নাইকির সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া এবং নতুন স্পন্সরের পাশাপাশি বার্সেলোনার নিজস্ব ব্যবস্থায় দ্বারা আসতে পারে নতুন জার্সি। আর তারই অংশ হিসেবে ঢাকায় গার্মেন্টস কারখানা ঘুরে গিয়েছে বার্সার ক্লাব অফিসিয়ালরা।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি খুব শিগগিরই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বার্সেলোনা। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বার্সার বর্তমান চুক্তির কথাও। ২০২৮ সাল পর্যন্ত নাইকির সঙ্গে চুক্তি আছে কাতালান জায়ান্টদের। এর মধ্যে চুক্তিভঙ্গ করলে নাইকিকে জরিমানাও দিতে হতে পারে।