নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি টগর, সম্পাদক মুক্তা

নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি টগর, সম্পাদক মুক্তা

ফাইল ছবি

নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু আহসান টগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. শরীফুল হক মুক্তা বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে ১১টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের বিজয়ী হয়েছে। বাকি তিনটি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সমিতির ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান কবীর এ ফলাফল ঘোষণা দেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু আহসান টগর ১৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী  প্রার্থী প্রসাদ কুমার তালুকদার পেয়েছেন ১২২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শরীফুল হক মুক্তা ১৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সাজু পেয়েছেন ১১৪ ভোট।

এছাড়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে এস এম লুৎফর রহমান রাব্বানী পেয়েছেন ১৬৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রদীপ কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ১১১ ভোট। জুনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. হারুন অর রশিদ বুলবুল পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আখতার হোসেন পেয়েছেন ১১২ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ মাহমুদ ১৬১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী তাজউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১১৭ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে মো. মোখলেছুর রহমান মিলন পেয়েছেন ১৫৬ ভোট।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মমতাজ রায়হান পেয়েছেন ১২৮ ভোট। পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. শরিফুল ইসলাম ইমন ১৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. নাজমুল হক পেয়েছেন ১২৪ ভোট। নিরীক্ষণ সম্পাদক পদে মো. আরিফুল ইসলাম ১৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোস্তাফিজুর রহমান আনছার পেয়েছেন ১১৬ ভোট। সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বাকি বিল্লাহ পেয়েছেন ১৯১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম পেয়েছেন ৯১ ভোট। আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. মাহমুদুর রহমান ১৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১৩৭ ভোট। এছাড়া মহিলা সম্পাদিকা পদে মোছা. আরজুমান্দ বানু পুস্প পেয়েছেন ১৪১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছা. দিনাই তাসরিন পেয়েছে ১৪০ ভোট।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান কবীর বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।