আইসিজেতে ইসরায়েলের পক্ষ নিলো যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিনের ক্ষোভ

আইসিজেতে ইসরায়েলের পক্ষ নিলো যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিনের ক্ষোভ

সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) শুনানিতে আবারও ইসরায়েলের পক্ষ নিল যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শুনানিতে বেশির ভাগ দেশের প্রতিনিধিরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারত্ব অবসানের দাবি জানালেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তায় জোর দিয়ে তেলাবিবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আদালতে যুক্তি তুলে ধরে। আমেরিকা বলছে, ফিলিস্তিনের দখল করা ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আগে ইসরায়েলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

আর এতে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল–মালিকি। তিনি বলেন, আমি আরও বেশি কিছু আশা করেছিলাম; কিন্তু নতুন কিছু শুনতে পেলাম না। যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে বলে আসছে যে আদালতে নয়, অন্য কোনো ফোরামে ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু গত ৭৫ বছর অন্য ফোরামে চেষ্টা চালাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা, ভেটো ও তাদের ক্ষমতার দাপটের মুখে পড়তে হয়েছে ফিলিস্তিনকে। কোথাও কিছু না হওয়ার কারণে ফিলিস্তিন দ্বারস্থ হয়েছে আইসিজের।

ইসরায়েলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আইসিজেতে গতকাল বুধবার তৃতীয় দিনের মতো শুনানি হয়েছে। শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

শুনানিতে অংশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আইন উপদেষ্টা রিচার্ড ভিসেক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে সরে যেতে ইসরায়েলকে আইনিভাবে সরে যেতে বাধ্য করা উচিত হবে না।

রিচার্ড ভিসেক আরও বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না যে দখল করা ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে ইসরায়েলকে সরে যেতে হবে। এসব ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সরে যেতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ইসরায়েলের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আহ্বানে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্দেশনা ও মতামত দিতে এই শুনানি চলছে। গত সোমবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হওয়া এই শুনানিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অর্ধশতাধিক দেশ ও তিনটি সংস্থা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। এর সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার অভিযোগে আইসিজেতে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার যোগসূত্র নেই।- আল জাজিরা