ঝিনাইদহে করোনায় এক পুলিশ এবং উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

ঝিনাইদহে করোনায় এক পুলিশ এবং উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

ফাইল ফটো

ঝিনাইদহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের একজন এএসআইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলায় উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।

ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে  চিকিৎসাধিন অবস্থায় এএসআই মোঃ দলিল উদ্দিন নামে এই পুলিশ সদস্য মারা যান বলে  ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্সের সশস্ত্র বিভাগের এএসআই মোঃ দলিল উদ্দিন আক্রান্ত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য  তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার রাতে তিনি মারা যান। তার বাড়ি যশোরে।

এছাড়া জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার  চরপাড়া গ্রামে করোনাভাইরাসে উপসর্গ নিয়ে ৬৮ বছরের এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন বলে ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান। তিনি বলেন, শরফত হোসেন করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সোমবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক মঙ্গলবার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এছাড়া জেলার হরিণাকুন্ডুতে করোনা উপসর্গ নিয়ে শরাফত হোসেন (৬৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। সোমবার (১০ আগস্ট ) রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মৃত ব্যক্তির ভাতিজা হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, তার চাচা ঈদের পরদিন থেকে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি নিজ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট  বেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।

ইসলামি ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ হানিফ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত ৩টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ জামিনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত ব্যক্তি ঈদের পরদিন থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের ১৫ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছেইউএনও  সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান,  মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ ওই এলাকার ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১,১৪৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সিভিল সার্জন দপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক মুখপাত্র চিকিৎসক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন মারা গেছেন বলে তিনি জানান।

জেলার সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এমনকি মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছে না। হাটবাজারগুলোয় আগের মত ভিড় করে কেনাকাটা করছে সবাই। এ কারণে জেলায় সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।