হলে এনে নির্যাতন, ঢাবির ৩ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

হলে এনে নির্যাতন, ঢাবির ৩ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

ফাইল ছবি

ব্যবসায়ী ও তার বন্ধুকে বাসা থেকে তুলে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অপহরণের মামলায় আদালত এ আদেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদি, মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক মোনতাছির হোসাইন ও তার আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক উপসম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ ওরফে তানসেন।

জানা গেছে, আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি ব্যবসার কথা বলে মোনতাছির হোসাইনের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিতে দেরি করায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শাহাবুদ্দীন তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০-১২ জনকে নিয়ে আবদুল জলিল ও তার বন্ধু হেফাজ উদ্দীনকে হাতিরঝিলের হাজীপাড়ার বাসা থেকে তুলে এনে বিজয় একাত্তর হলে রাখে। এরপর হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আটকে রাখেন। আব্দুল জলিলের পরিবার মামলা দায়ের করার পর শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় পুলিশের অভিযানে মুহসীন হলের ৫৪৪ নম্বর কক্ষ থেকে অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা হয়।

হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল জব্বার বলেন, প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান বিদেশে থাকায় হল প্রশাসন এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি দেশে ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শবে বরাত উপলক্ষে ছুটি এবং প্রাধ্যক্ষ স্যার কালই ফিরবেন, তাই আমরা অপেক্ষা করছি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার উনি আসার পরেই নেবেন।

তবে সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তিন ছাত্রের মধ্যে দুজনের কোনো আবাসিকত্ব নেই। ফলে হল প্রশাসনের পক্ষে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না।

প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ওই তিন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী ডিসিপ্লিন বোর্ডের সভায় তাদের বিষয়টি উত্থাপিত হবে। সেখানে তাদেরকে অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার করা হতে পারে অথবা অন্য শাস্তি দেওয়া হবে। আমরা বারবার বলছি- এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা-বহির্ভূতকাজে জড়িত থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।