তৃণমূল কংগ্রেস মানেই বিশ্বাসঘাতকতা ও দুর্নীতি : মোদি

তৃণমূল কংগ্রেস মানেই বিশ্বাসঘাতকতা ও দুর্নীতি : মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বিশ্বাসঘাতকতা ও দুর্নীতির অপর নাম তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। টিএমসি মানেই ‘তু ম্যায় অর কোরাপশন’। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে বিজেপির দলীয় সমাবেশে এভাবেই দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার রাজ্যটির আরামবাগে প্রথম সভার পর শনিবার কৃষ্ণনগরে ছিল তার দ্বিতীয় জনসভা। এখানেও দুর্নীতি ও সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় যেভাবে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার চলছে, সেটা বাংলাকে নিরাশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বড় আশা নিয়ে তৃণমূলকে বারবার জনাদেশ দিয়েছে। কিন্তু অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতক’র অপর নামে পরিণত হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের কারণে বাংলার উন্নতি নয় বরং দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা ও অত্যাচার, তৃণমূল মানে দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র। তৃণমূল বাংলার মানুষকে গরিব বানিয়ে রাখতে চায়, যাতে ওদের রাজনীতি, ওদের খেলা চলতে থাকে।’ 

মোদি বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষের নাম করে তৃণমূল রাজ্যটিতে মা, বোনেদের ভোট নিয়েছে, তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। আর এখন মা-মাটি-মানুষ সকলেই তৃণমূলের কুশাসনের কারণে কান্না করছে। সন্দেশখালির বোনেরা ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষা করছে। অথচ তৃণমূলের সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। বাংলার পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে পুলিশ নয়, অপরাধীরাই ঠিক করে যে তারা কবে ধরা দেবে, কবে আত্মসমর্পণ করবে। রাজ্য সরকার চায়নি যে, সন্দেশখালির অভিযুক্ত গ্রেফতার হোক কিন্তু বাংলার নারী শক্তি দুর্গা রূপে উপস্থিত হয়েছে, বিজেপির কর্মকর্তারাও তাদের সঙ্গ দিয়েছে। আজ সেই কারণেই শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে।’

এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রাজ্যসভার সাংসদ শমিক ভট্টাচার্য, বিধায়ক অসীম সরকার, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যসহ দলের নেতা-নেত্রীরা।