শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এরপর তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।’

ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।’

অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।