উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মুলতানের জয়রথ থামালো পেশোয়ার

উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মুলতানের জয়রথ থামালো পেশোয়ার

সংগৃহীত

মুলতানের জয়রথ থামালো পেশোয়ার। তীরে এসে তরী ডুবেছে রিজওয়ানদের। ষোলো আনা শিহরণ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি বাবর আজমের। ব্যর্থ হয় ইফতিখার আহমেদ ও ক্রিস জর্ডনের দুর্দান্ত লড়াই। তাদের ৩০ বলে ৭৫* রানের জুটি পারেনি মুলতানকে আরো একটা জয় এনে দিতে।

মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে পেশোয়ারের মুখোমুখি হয় মুলতান। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০৪ রান তুলে পেশোয়ার। জবাবে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয় মুলতান, তাদের ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ২০০ রানে। ৪ রানের জয় পায় পেশোয়ার।

১৫.২ ওভারে ১২৫ রানে ৫ উইকেট হারানো মুলতানকে টেনে আনেন ইফতেখার ও জর্ডান। দু’জনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ২৩ রানের। যা আর মেলাতে পারেননি, সালমান ইরশাদের ওভারে ১৮ রান তুলতে পারেন তারা।

এই হারেও অবশ্য মুলতানের তেমন কোনো সমস্যা হবার নয়, ইতোমধ্যেই প্রথম ও একমাত্র দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। ৮ ম্যাচে ৬ জয় তাদের। বিপরীতে ৮ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে পেশোয়ার।

সাইম আয়ুবকে সাথে নিয়ে এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ৮৪ রান সংগ্রহ করেন বাবর আজম। সাইম ফেরেন অর্ধশতক হাতছাড়া হবার আক্ষেপ নিয়ে, ২২ বলে ৪৬ রান করে। তবে বাবর তুলে নেন ফিফটি। ৪০ বলে ৬৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

তিনে নেমে ক্যাডমোর (৫) দ্রুত ফিরলেও হাসিবুল্লার ২০ বলে ৩১ ও রভম্যান পাওয়েলের ১৫ বলে ২৩* রানে ২০০ পেরোয় পেশোয়ার। আমির জামাল করেন ৫ বলে ১২ রান। ৩ উইকেট নেন উসামা মির, দুটি যায় ক্রিস জর্ডানের ঝুলিতে।

জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মুলতান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৪ বলে ৩২ ও তালহা তাহিরের ১৮ বলে ২৬ বলার মতো স্কোর। খুশদিল শাহ, রেজা হেন্ড্রিকসরা পারেননি প্রত্যাশা মেটাতে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করা হয়নি ডেভিড মালানের (১৯)।

৯১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মাঠে আসেন ইফতেখার। খুশদিলের সাথে তার জুটি বড় হয়নি। তবে এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মুলতান। জর্ডানকে নিয়ে অবিশ্বাস্য কিছু গড়ার পথেই ছুটেন ইফতেখার। দু-জনে মিলে ৩৯ বলে করেন ৯০* রান।

তবে এই জুটিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ব্যর্থ হয় তাদের প্রচেষ্টা। ইফতিখার ২৭ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ১২ বলে ৩০* রান করেন ক্রিস জর্ডান। পেশোয়ারের আমের জামাল ৩৬ রানে দু’টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন বাবর আজম।