ফিলিস্তিনিদের তহবিল দিবে সুইডেন-কানাডা

ফিলিস্তিনিদের তহবিল দিবে সুইডেন-কানাডা

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) আবারও তহবিল দেওয়া শুরু করবে সুইডেন ও কানাডা। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (৯ মার্চ) এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় সুইডেন। এমনটাই বলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি জানায়, এক বিবৃতিতে সুইডেন সরকার জানায়, ইউএনআরডব্লিউএ তাদের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও কর্মীদের বিষয়ে তদন্তে রাজি হওয়ার পর, সংস্থাটিকে প্রাথমিকভাবে ১৯ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর ঘোষণা দেয় সুইডেন।

জানা যায়, ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ২০২৪ সালে মোট ৩৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে সুইডেন সরকার। এদিকে, কর্মীদের বিষয়ে তদন্তে রাজি হওয়ার পর, শুক্রবার ইউএনআরডব্লিউএকে তহবিল দেওয়ার ঘোষণা দেয় কানাডা।

এক বিবৃতিতে কানাডার আন্তর্জাতিক ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ কে তহবিল দেওয়ার ব্যাপারে সাময়িক যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে কানাডা। তবে কবে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে, তা জানাননি তিনি।

ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে ইউএনআরডব্লিউএ এর তহবিলে অন্তত ৫০ মিলিয়ন ইউরো ছাড়ের ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় কমিশন।

সংস্থাটিতে তহবিল বন্ধ করার পর আবারও তা চালু করতে যাওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক দাতা দেশগুলোর একটি কানাডা। সংস্থাটিতে তহবিল দিয়ে আসা চতুর্থ দেশ সুইডেন আর ১১তম দেশ কানাডা।

গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। সেখানে সংস্থাটি মানবিক সহায়তা ছাড়াও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতেও সাহায্য করে আসছে। সংস্থাটির অন্তত ১৩ হাজার কর্মী গাজায় কাজ করে। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে গাজায় অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের হামলার সাথে ইউএনআরডব্লিউএ-এর ১২ কর্মী জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘের একটি দল অভিযোগটি তদন্ত করছে।

এদিকে, ইসরায়েলি ওই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ঘটনায় ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।