পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জারদারি

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জারদারি

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রোববার শপথ গ্রহণ করেছেন। শনিবার ভোটে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ঈসা ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি, তিন বাহিনীর প্রধান এবং জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। এছাড়া চারটি প্রদেশের গভর্নর, মুখ্যমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

জারদারি ক্ষমতাসীন জোটের যৌথ প্রার্থী ছিলেন। শনিবার তিনি পিটিআই-সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাইকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেন। দ্বিতীয়বারের মতো দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জারদারি।

জারদারি পার্লামেন্টে ও চারটি প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিতে মোট ৪১১টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। তার পেছনে প্রধানত পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) এর মতো দলগুলোর সমর্থন ছিল৷

এদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী আচাকজাই পেয়েছেন ১৮১ ভোট। কারণ তিনি শুধু পিটিআই-সমর্থিত এসআইসি অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখাওয়া বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পরিষদে জারদারি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট এবং আচাকজাই পেয়েছেন ১১৯ ভোট। এদিকে, সিন্ধু বিধানসভায় তিনি ৫৩ ভোট পেয়েছেন।

জারদার পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে ৪৩ ভোট, কেপি অ্যাসেম্বলিতে ৮ ও বেলুচিস্তান অ্যাসেম্বলিতে ৪৭ ভোট পেয়েছেন যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী যথাক্রমে ১৮, ৪১ এবং শূন্য ভোট পেয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলেন জারদারি। তিনি এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জারদারির জন্ম ১৯৫৫ সালে। করাচিতেই তার বেড়ে ওঠা ও শিক্ষা লাভ। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কন্যা বেনজির ভুট্টোর স্বামী। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে নিহত হন বেনজির।