ইউক্রেনে আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনে আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

ফাইল ছবি

রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য আবারও বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আর্টিলারি গোলাবারুদ, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি আর্মার সিস্টেম এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে বলে জানান তিনি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর অস্ত্র কেনার ব্যয়ে সাশ্রয়ের মাধ্যমে এই ‘এড হক’ প্যাকেজ সম্ভব হয়েছে। 

হোয়াইট হাউসে ঘোষণার আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা ভয়েব অব আমেরিকাকে বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে, কয়েকটি ক্রয় চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি করে সেনাবাহিনী বাজেটে বরাদ্দ দামের চেয়ে আরও কম দামে বেশ কিছু জিনিস কিনতে পেরেছে, যার ফলে সাশ্রয় হয়েছে। এটা এড হক বা এককালীন ব্যাপার। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কখন বা আদৌ আর কোনো সাশ্রয় হবে কি না এবং আমরা নিশ্চয় এভাবেই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবো না।’

একটি উদাহরণ অনুযায়ী, ২৫মিমি কামানের গোলার দাম প্রাথমিকভাবে ১৩০ ডলার ধরা হয়েছিল। কিন্তু দরকষাকষি করে সেটা কমিয়ে ৯৩ ডলার করা সম্ভব হয়। বেঁচে যাওয়া অর্থ তখন ইউক্রেনের জন্য আমেরিকান সাহায্যের তহবিলে রাখা হয়। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়া আগেও কয়েকবার হয়েছে কিন্তু তখন তহবিলে টাকা ছিল, তাই সেটা খবর করার মতো কিছু ছিল না।

নতুন এই সাহায্য প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে যখন পেন্টাগন নিজেই এক হাজার কোটি ডলারের ঘাটতির মুখে। ইউক্রেনকে ইতোমধ্যে যে অস্ত্র আমেরিকার নিজস্ব ভাণ্ডার থেকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর জন্য পুনরায় সংগ্রহ করার জন্য এই অর্থ প্রয়োজন।  প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘাটতি মেটাতে তাদের কংগ্রেসের কাছে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে হবে।

পেন্টাগন কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন যে, বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের কাছে যে সম্পূরক তহবিলের অনুরোধ করেছিলেন, সেখান থেকেই সেনাবাহিনীর অস্ত্রের মজুদ পুনরায় ভরার টাকা আসবে। কিন্তু সেই সম্পূরক অনুরোধে, ইউক্রেন, ইসরায়েল এবং তাইওয়ানের জন্যও হাজার হাজার কোটি ডলার অতিরিক্ত সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের সাথে সরকারি অর্থ ব্যয় এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেস এই সম্পূরক সাহায্য বিল অনুমোদন করেনি। 

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ডেনমার্ক ঘোষণা করেছে, তারা প্রায় ৩৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গোলাবারুদ এবং আর্টিলারি ইউক্রেনে পাঠাবে।