তারাবিহ নামাজের ফজিলত

তারাবিহ নামাজের ফজিলত

ছবি: সংগৃহীত

আরবি হিজরি সনের ৯ম মাস রমজানের চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখার আগেই তারাবিহ নামাজ আদায় করা রমজানের সুন্নত। এমনকি যারা শরিয়তসম্মত কোনো গ্রহণযোগ্য ওজরের কারণে রোজা পালনে অক্ষম, তারাও সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে তারাবিহ নামাজ পড়বেন।

দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি ৪ রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে সালাতুত তারাবিহ বা তারাবিহ নামাজ বলা হয়। ফকিহরা তারাবিহ’র নামাজকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন।

আরবি ‘تَرَاوِيْحِ তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি ৪ রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবিহ’।

রাসূলুল্লাহ (সা.) তারাবির নামাজে অংশ নিতেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জামাতে অংশ নেননি। তবে তিনি ঘরে তারাবির সময় নামাজ আদায় করতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবির জামাতে অংশ না নিলেও উম্মতকে তারাবির প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস : ২২০৫)

হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রোজা রাখেন, তারাবিহ নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেন, তার জীবনের আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (মিশকাত, হাদিস, ১৮৬২)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে এবং তারাবিহ আদায় করবে, সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী ও শহিদদের কাতারভুক্ত বলে গণ্য হবে’। (সহি ইবনে হিব্বান)