সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ: ৭ ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার বরখাস্ত

সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ: ৭ ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার বরখাস্ত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের কারণে আরও তিন জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও চার জন ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। এই সাত জনকে বরখাস্ত করে বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আলাদা আলাদা আদেশ জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতের দায়ে ঢাকার ধামরাই উপজেলার ৪নং যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজু, ভিজিডি কর্মসূচির প্রায় সাড়ে সাত টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৫নং বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অপর আদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনের দায়ে বরগুনার বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।

বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা ৫নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রকনুজ্জামান, ভিজিএফের (মৎস্য) চাল বিতরণে অনিয়ম, জেলেদের ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে সরকারি চাল আত্মসাৎ এবং সরকারি সহায়তা প্রদানের নামে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে বরগুনার সদর উপজেলার ৯নং বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শামীম গাজীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ত্রাণের দাবিতে সাধারণ জনগণকে নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন অফিস ভাংচুরের উস্কানি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৭নং পীরগাছা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড দেয়ার নামে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে অর্থ আদায় এবং হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে পলাতক থাকায় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৯নং আচারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম মিন্টুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।