সিটি ব্যাংকের নিট মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩ শতাংশ

সিটি ব্যাংকের নিট মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩ শতাংশ

ফাইল ছবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি সিটি ব্যাংক ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। ব্যাংকটি কর পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি।  

বুধবার (২৭ মার্চ) ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এটি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পর্ষদ মুনাফার ওপরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।

সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জন্য ৬৩৮ কোটি টাকার কর পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে। ২০২২ সালের ৪৭৮ কোটি টাকার বিপরীতে এই মুনাফা ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পর্ষদ সভায় এই মুনাফার ওপরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশও প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগামী ৩০ মে তারিখে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী— ২০২৩ সালে ডলার সংকটের কারণে সিটি ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ থেকে আয় তার আগের বছর থেকে ৭৪ শতাংশ কমে গেলেও ব্যাংকের আমানত ব্যয় কমেছে। একই সঙ্গে ভালো ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ও ঋণ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এছাড়া সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড থেকে মুনাফা কিছুটা বেড়েছে। এসব কারণে ব্যাংকটি গত বছর মোট এক হাজার ৩৯১ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করতে সমর্থ হয়, যা ২০২২ সালে ছিল এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালে সিটি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে মোট ২৫৬ কোটি টাকার প্রভিশন সংস্থান বাবদ ব্যয় করেছে।

নিট মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা হওয়ার কারণে এ ব্যাংকের রিটার্ন অন ইক্যুয়িটি বা শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন পৌঁছালো ১৭.৭ শতাংশে। ব্যাংকটির আয়ের উল্লেখযোগ্য দুটি দিক হলো— মোট আয়ের ২৬ শতাংশই এসেছে ফি, কমিশন ইত্যাদি থেকে এবং এই আয়ের ৪০ শতাংশই এসেছে ব্যক্তি খাত থেকে (রিটেইল, কার্ড ও ক্ষুদ্র ঋণ)।

এই নিট মুনাফা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা, যা ২০২২ সালে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা।