মিয়ানমারের রাজধানীতে হামলায় ৭ ড্রোন ভূপাতিত

মিয়ানমারের রাজধানীতে হামলায় ৭ ড্রোন ভূপাতিত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর আকাশে ধেয়ে আসা সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। 

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে নিজেরা শাসনভার গ্রহণ করে। এরপর থেকেই দেশটিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রতিনিধিত্বকারী সশস্ত্র সংগঠনের সংঘর্ষ চলছে। সঙ্গে রয়েছে গণতন্ত্রকামী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)।

নেপিডো বিমানবন্দরের দিকে চার ড্রোন ও জায়াথিরি টাউনশিপের দিকে তিনটি ড্রোন এগিয়ে আসে। জান্তার তথ্য বিভাগ জানিয়েছে— ড্রোনগুলো সফলভাবে ভূপাতিত ও ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

এএফপির ওই প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভূপাতিত ড্রেগুলোর মধ্যে একটির সঙ্গে বোমা সংযুক্ত ছিল। ভূপাতিত করার পর বোমটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

পিডিএফের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, তারা নেপিডোর সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে পিডিএফের সঙ্গে এএফপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সামরিক জান্তার সঙ্গে অস্ত্র ও সেনার সংখ্যায় পেরে না উঠে ভিন্নধর্মী কৌশল ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। তারা এখন বোমা বহনে সক্ষম বাণিজ্যিক ড্রোন ব্যবহার করছে। এই ড্রোনগুলো সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে হামলা চালিয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ‘বোমা নিক্ষেপ’ হামলায় মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে জান্তার সেনারা তাদের সুরক্ষিত অবস্থানগুলো থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো আক্রান্ত হয়েছে এবং চীনের সীমান্তের কাছে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহত হয়েছেন।

সামরিক বাহিনীর নকশা ও পরিকল্পনা মেনে নির্মিত নেপিডো অত্যন্ত সুরক্ষিত। এই শহরে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা বসবাস করেন। এছাড়া আশপাশের এলাকাগুলো নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকায় নেপিডোর কাছাকাছি হামলার ঘটনা খুবই বিরল। সূত্র: বিবিসি ও এএফপি